করোনাভাইরাস মহামারী ও বন্যার কারণে নির্ধারিত সময়ের সাত মাস পর শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথমদিনে সারাদেশে অনুপস্থিত ছিলেন ২২ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী, যা মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ।
এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে এদিন বহিষ্কৃত হয়েছেন ৪৪ জন শিক্ষার্থী।
রোববার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশের ২ হাজার ৬৩৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৭ জন। এর মধ্যে প্রথমদিন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩০ জন।
অর্থাৎ অনুপস্থিত ছিলেন ২২ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী, শতাংশের হিসেবে যা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
প্রথম দিন নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে কুরআন মাজিদ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে বাংলা-১ ও বাংলা-২ (নতুন ও পুরাতন সিলেবাস) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আর ভুল প্রশ্নপত্রের কারণে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসির (বিএমটি) একাদশ শ্রেণির বাংলা-১ বিষয়ের পরীক্ষা আধা ঘণ্টার মাথায় স্থগিত করা হয়।
স্থগিত হলেও এতে উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
প্রথম দিনের পরীক্ষায় কারিগরি বোর্ডে অনুপস্থিত ছিলেন ২ দশমিক ১৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। মাদ্রাসা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
কারিগরি বোর্ড থেকে ২৩ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ১৫ জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন।
ঢাকা বোর্ডে ১ দশমিক ২৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, কুমিল্লায় ২ দশমিক ০৪ শতাংশ, যশোরে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সিলেটে দশমিক ২৬ শতাংশ, বরিশালে ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, দিনাজপুরে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা বোর্ডে ৫ জন এবং বরিশাল বোর্ডে ১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা এবং বেলা ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।