রাজধানীর পান্থপথের আবাসিক হোটেলে নারী চিকিৎসক হত্যার মামলায় তার স্বামী মো. রেজাউল করিম আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলম তার খাস কামরায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
১৬৪ ধারায় ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির’ পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থাকার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর মোহাম্মদ মাহফুজুল কবির নারী চিকিৎসকের স্বামী রেজাকে আদালতে হাজির করেন। আসামী ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত বুধবার পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট’ নামে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে পুলিশ ২৭ বছর বয়সী জান্নাতের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।
পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে রেজাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জব্দ করা হয় আসামির রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ।
রেজার সঙ্গে অন্য নারীর সম্পর্কের কথা জান্নাত জেনে ফেলায় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হচ্ছিল। এর মধ্যে জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে ১০ অগাস্ট স্ত্রীকে নিয়ে পান্থপথের ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট হোটেলে ওঠেন রেজা। সেখানে জান্নাতকে গলা কেটে হত্যার কথা তিনি ‘স্বীকার করেছেন’ বলে র্যাবের ভাষ্য।
মগবাজারের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে করছিলেন জান্নাত। আর রেজা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছিলেন।
তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল জান্নাতের পরিবার। রেজাকে আসামি করে বৃহস্পতিবারই একটি মামলা দায়ের করেছিলেন ওই তরুণীর বাবা।
ছায়া তদন্তে নেমে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও, মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার একটি মেস থেকে ৩১ বছর বয়সী রেজাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন-