শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন কাজী মো. জয়নাল আবেদীন নামের এক আইনজীবী।
Published : 07 Feb 2024, 07:25 PM
মারধরের একটি মামলায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব কায়সার কামালসহ ১০ আইনজীবীকে আগাম জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদাত হোসেনের বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে ওই সময়ের পর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ও সাইফুদ্দিন খালেদ।
সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী সাংবাদিকদের বলেন, “জামিনের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে যাব। যেখানে নিম্ন আদালতে এই জামিন দিতে পারে, সেখানে তারা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন।”
বিএনপি নেতা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, মারধর করা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সোমবার শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন কাজী মো. জয়নাল আবেদীন নামের এক আইনজীবী।
কাজী মো. জয়নাল আবেদীন নিজেও বিএনপিপন্থি আইনজীবী। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সম্পাদক।
মামলার আসামিরা হলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবী কায়সার কামাল, শাহের খান পাঠান, এরশাদ ওরফে রাশেদ, উজ্জ্বল, আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, উচ্ছল, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম সপু, মাকসুদ উল্লাহ ও শহীদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে আদালত বর্জনের ডাক দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৩ জানুয়ারি একটি মামলার খবর নিতে সুপ্রিম কোর্টে গেলে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ‘সামাজিক ও পেশাগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে’ ফোরাম থেকে জয়নাল আবেদীনকে বহিষ্কার করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ওই দিন দুপুরে বহিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে কায়সার কামাল ‘ধমক দিয়ে’ আইনজীবী জয়নালকে ‘ধরতে বলেন’ পাশে থাকা অনুসারীদের। পরে ওইদিন বিকালে বাদীকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের ৪০৯ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে কায়সার কামালের নির্দেশে আইনজীবী শাহের খান পাঠান ‘মুখে ঘুসি মারেন’ বলে বাদীর জয়নাল আবেদীনের ভাষ্য। এর কারণ জানতে চাইলে আইনজীবী এরশাদ ওরফে রাশেদ লোহার চেয়ার দিয়ে জয়নালের ‘বাম চোখের নিচে আঘাত করেন’ বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, অন্য আসামিরা বাদীকে ‘মেরে মেঝেতে ফেলে দেন, প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং প্যান্টের পকেটে থাকা ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা নিয়ে নেন’।
পরে জয়নালের চিৎকারে আশপাশের কক্ষের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বলে লেখা হয়েছে এজাহারে।