ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়ন ও ব্র্যাকের অংশীদারত্বে ২০১৭ সালে ‘প্রত্যাশা’ প্রকল্প শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইওএম।
Published : 13 Dec 2022, 08:10 PM
নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ ‘অভিবাসন’ নিশ্চিতে ‘প্রত্যাশা’ প্রকল্পের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ ও অভিবাসনে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ‘প্রত্যাশা’ প্রকল্পটি ‘অনেকাংশে’ পথ দেখিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ: সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড ইম্প্রুভড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স (প্রত্যাশা)’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
‘প্রত্যশা: প্রবাসীদের আশা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে ইমরান আহমদ বলেন, সরকার অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সমৃদ্ধির জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ পুনঃএকত্রীকরণ প্রোগ্রামিং গড়ে তোলার ভিত্তিস্থাপনে ‘প্রত্যাশা’ প্রকল্পটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
২০১৭ সালে শুরু করা আইওএমের এ প্রকল্পে ব্র্যাকের অংশীদারিত্ব রয়েছে। এ প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে নিরাপদ অভিবাসন ও টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ বাস্তবায়নে এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের নানা চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের বিষয় উঠে আসে।
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান আবদুস সাত্তার এসয়েভ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী, সংঘাত এবং বর্তমানে চলমান অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনা করে একটি অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস।
“বাংলাদেশ সরকার ও অভিবাসন সংক্রান্ত অন্যান্য অংশীজনদের অভিবাসন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নানা জটিলতা নিয়ে সার্বিকভাবে ভাবতে ও চিহ্নিত করতে প্রত্যাশা প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইওএমের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী উপদেষ্টা শহীদুল হক।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোএবং বাংলাদেশ বৈদেশিক কর্মসংস্থান সেবা লিমিটেডের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে ইইউ ডেলিগেশনের প্রতিনিধি, আইওএম ও ব্র্যাকের কর্মকর্তা ও অভিবাসীরা আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আলোচনা শেষে ‘বাংলাদেশে অনিরাপদ উপায়ে অভিবাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসী ও সম্প্রদায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম ও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প’ তুলে ধরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।