বাংলাদেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ৬ দশমিক আট শতাংশ শিশু শ্রমে নিয়োজিত।
Published : 17 May 2023, 09:33 PM
বাংলাদেশে শিশুশ্রম প্রতিরোধে যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সরকার নিয়েছে, তার অগ্রগতি পর্যালোচনায় একটি কর্মশালা করেছে ইউনিসেফ।
মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে শিশু শ্রম নির্মূলে ২০২১–২০২৫ জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই কর্মশালা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ জানিয়েছে।
ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ৬ দশমিক আট শতাংশ শিশু শ্রমে নিয়োজিত। শিশুশ্রম দূরীকরণ এবং স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করা ছিল এই কর্মশালার উদ্দেশ্য।
শ্রম ও র্কমসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান কর্মশালায় বলেন, “শিশুশ্রম রোধে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিশুশ্রম রোধের পাশাপাশি শিশুদের সঠিক বিকাশে ভূমিকা পালন করছে। সকল পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করছে।”
ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিভাগের ওআইসি প্রধান এলিসা ক্যাল্পনা বলেন, “শিশুশ্রম রোধে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। পাশপাশি এ বিষয়ে অনেক সফলতাও অর্জন করেছে বাংলাদেশ।”
শিশুশ্রম দূরীকরণে ইউনিসেফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সম্প্রতি একটি চুক্তি করেছে। এর উদ্দেশ্য, প্রোগ্রামিং, সক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও নীতি ও আইনি সংস্কারের মাধ্যমে দেশে শিশুশ্রম দূর করা।
এই লক্ষ্য অর্জনে ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নির্মূলের লক্ষ্যে এই জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বা ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন (এনপিএ) গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কর্মপরিকল্পনা বর্ণিত পাঁচটি মূল কৌশলগত উদ্দেশ্য হল: শিশুশ্রমের প্রতি আগ্রহ কমানো, বিপজ্জনক ও সবচেয়ে মন্দ কাজ থেকে শিশুদের সরিয়ে আনা, কর্মক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি, অংশীদারিত্ব ও একাধিক খাতের সম্পৃক্ততা এবং এনপিএর যথাযথ বাস্তবায়নের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন।
অন্যদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহসান-ই-এলাহী, ইউনিসেফের ওআইসি প্রতিনিধি এমা ব্রিগহ্যাম, ইউনিসেফের বাংলাদেশে ওআইসির উপ–প্রতিনিধি নাতালি ম্যাককয় কর্মশালায় অংশ নেন।