২০১৯ সালে প্রায় ২৭ কোটি টাকায় কেনা হয় ১০টি গাড়ি। তিন বছর পর সেসব গাড়ি ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকায় বেচে দেয় ট্রাস্টি বোর্ড।
Published : 03 Apr 2024, 08:11 PM
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কিনে তিন বছর পর বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় ১০ কোটি টাকার বেশি অপচয়ের অভিযোগ এনে ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান ও সাবেক ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
সংস্থাটির উপ পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম মঙ্গলবার সমন্বিত ঢাকা -১ জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন।
যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, বেনজীর আহমেদ, এম এ কাশেম, রেহানা রহমান, আজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাহান, ইয়াছমিন কামাল, ফওজিয়া নাজ এবং তানভীর হারুন।
এদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ডে আছেন।
দুদক উপপরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দিয়ে ৮টি রেঞ্জ রোভার, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি টোয়োটা প্রাডো কেনে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড।
তিন বছর পর বেসরকারি বিশ্ববদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৪৪ (৭) ধারা লঙ্ঘন করে এই ১০টি গাড়ি ১৭ কোটি ৩০ লাখ ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।
গাড়ি কেনা ও বিক্রিতে এই পার্থক্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা লোকসান হয়। ওই তিন বছরে জ্বালানি ও চালকের বেতন ব্যয় হয় আরো বাবদ ৮৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
মামলায় বলা হয়, “ফলে সর্বমোট ১০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা তারা ক্ষতিসাধন পূর্বক আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৪৯ ধারা তৎসহ দূর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।”
দুদুক জানায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এফডিআর করার নামে অর্থ লোপাট, স্ত্রী, স্বজনদের চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগ ছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে দুদক নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ৩০৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, মানিলন্ডারিং অভিযোগে মামলা করা হয়।
এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে বিচার শেষ হয়নি।
নর্থ সাউথের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা
নর্থ সাউথের অর্থআত্মসাৎ: মামলায় আরও ৩ আসামি, অভিযোগপত্র অনুমোদন