বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালতে মাদক সংক্রান্ত ৮২ হাজার ৫০৭টি মামলা বিচারাধীন।
Published : 19 Feb 2024, 07:32 PM
সারাদেশে গত এক বছরে ১ লাখ ২০ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করার তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে `বিপুল পরিমাণ’ মাদকদ্রব্য।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালতে মাদক সংক্রান্ত ৮২ হাজার ৫০৭টি মামলা বিচারাধীন।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং সেবাপ্রার্থীদের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ করতে অনলাইনে আবেদন দাখিল ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে (যেমন-কুমিল্লা, সিলেট) নতুন পাসপোর্ট অফিস স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট কার্যক্রম আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
বিদেশের কারগারে ৯ হাজার ৩৭০ জন বাংলাদেশি বন্দি
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানে ৯ হাজার ৩৭০ বাংলাদেশি বিদেশের কারাগারে আটক রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট মিশনগুলো থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২৭টি দেশের মধ্যে সৌদি আরবের কারাগারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৪৬ জন আটক আছেন। তুরস্কে আছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০৮ জন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে লিবিয়া থেকে এক হাজার ২২৬ জনকে, ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের কারাগার থেকে ৫১ জনকে দেশে ফেরানো হয়েছে। এছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কারাগার থেকে আরও প্রায় এক হাজার ৯৫০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ৮১টি দূতাবাসের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। প্রাথমিকভাবে ভাড়া করা ভবনে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হলেও পরে ৩২টি মিশনের জন্য জমি থাকা সাপেক্ষে নিজস্ব ভবন নির্মাণ, অথবা জমিসহ তৈরি ভবন কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমানে ১৪টি দেশে বাংলাদেশ মিশনের ১৭টি নিজস্ব ভবন রয়েছে। এছাড়া সাতটি দেশে জমি রয়েছে।
আয়-বৈষম্য হ্রাস ‘সময়সাপেক্ষ’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশে ধনী গরিবের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ‘বহুমাত্রিক’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুস সালামের পক্ষে উত্তর দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এটি সত্য যে, উচ্চ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য কমলেও আয়-বৈষম্য হ্রাস সময়সাপেক্ষ বিষয়। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, ভোগ ব্যয়-বৈষম্য পরিমাপে অধিকতর নির্ভরযোগ্য। আয়-বৈষম্য মূলত বাজার অর্থনীতিরই একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যার মূলে রয়েছে সম্পদ ও মানব পুঁজির অসম বণ্টন।
“অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির সুবিধা সকল জনগোষ্ঠীর মাঝে সমানভাবে বণ্টন নিশ্চিত করা গেলে আয়-বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব। সরকার দারিদ্র্য ও আয়-বৈষম্য দূরীকরণে যথেষ্ট আন্তরিক। সরকারের সকল দীর্ঘ ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা উন্নয়ন কৌশলের ভিত্তিমূলে রয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন।”