৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত ৯ অগাস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Published : 16 Jan 2024, 03:54 PM
সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনি অবস্থান থেকে সরকারের ‘কিছু করার নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে হলে বর্তমানে তিনি সরকারের যে নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন, সেই সুবিধা বাতিল করতে হবে।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে তার দল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ‘কিছু হলে’ তার দায় সরকারকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করে আসছেন দলটির নেতারা।
বেঁধে দেওয়া ওই সময়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আনিসুল হক বলেন, “ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়। পরিবর্তন করতে হলে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থান আনতে হবে। এরপর অন্য বিবেচনা করা যাবে। তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।
“তার শর্তযুক্তভাবে সাজা স্থগিত হয়েছে এবং মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে খালেদা জিয়ার যে আগের শর্তযুক্ত মুক্তি সেটাকে বাতিল করতে হবে। বাতিল করে সহাবস্থানে যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে। আমার মনে হয় আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।”
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত ৯ অগাস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জন্য গঠিন মেডিকেল বোর্ডের বরাতে বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, তাদের নেত্রীর অবস্থা ‘সঙ্কটজনক’। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো ‘জরুরি’।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার নয়া পল্টনে এক সমাবেশে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই দাবি জানিয়ে আসছেন।
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁ কামাল জানিয়েছেন। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, “আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়, সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে এ ব্যাপারটি।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)