রাজধানীর পল্লবীতে ২০ বছর আগে কাঠমিস্ত্রী শেখ মো. আব্বাসকে হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পঞ্চনন্দ সরকার, আব্দুস ছাত্তার ওরফে ল্যাংড়া ছাত্তার, লক্ষণ ও স্বপন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দণ্ডিতদের মধ্যে কেবল পঞ্চনন্দকে রায়ের সময় কারাগার থেকে এজলাসে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
খালাস পাওয়া ছয়জন হলেন– জুয়েল ওরফে আবুল খায়ের, দুখাই ওরফে গণেশ চন্দ্র শীল, নীলকান্ত মণ্ডল, ভবেন চন্দ্র সরকার, শামীম ও সিরাজুল ইসলাম।
দণ্ডিতদের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার দুলাল এবং জিয়াউদ্দিন আদালপাড়ার সাংবাদিকদের জানান, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঠমিস্ত্রী শেখ মো. আব্বাস দিনের কাজ শেষ করে ২০০৩ সালের ১১ মে রাত দেড়টার দিকে সহকর্মী মনির হোসেনের সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময় উত্তর কালশী এলাকায় রাস্তার ওপর আব্বাসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরদিন আব্বাসের ভাই শেখ আক্কাস আলী পল্লবী থানায় মামলা করেন। তদন্ত করে ২০০৪ সালের ১৩ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পল্লবী থানার তখনকার এসআই মিরাশ উদ্দিন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেয় দেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।