“ভবনটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়নি। এছাড়া তারা কিছু আনঅথোরাইজড কনস্ট্রাকশন করেছিল। এ কারণে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই অংশটুকু ভেঙে দিই।”
Published : 03 Mar 2024, 04:41 PM
ভবন তৈরিতে অনিয়মের কারণে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ২০১৯ সালে অভিযান চালিয়েছিল রাজউক; সে সময় ওই ভবনের অননুমোদিত অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে সাত তলা ওই ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত এক ডজন মানুষ।
ওই অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটিতে অগ্নিনির্গমন পথ ছিল না। ভবনের সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারসহ নানা ধরনের মালামাল রাখা ছিল। ফলে নিচতলায় যখন আগুন লাগল, ওই সিঁড়ি ব্যবহার করে নামতে পারেনি মানুষ। উপরে আটকা পড়ে ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় অধিকাংশের মৃত্যু হয়।
আর রাজউক জানিয়েছে, ভবনটিতে অফিস করার অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল; রেস্তোরাঁ করার জন্য নয়। অথচ গ্রিন কোজির বিভিন্ন ফ্লোরে গোটা দশেক রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান ছিল। নিচতলার একটি চা-কফির দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করায় ওই ভবনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
“ওই ভবনটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়নি। এছাড়া তারা কিছু আনঅথোরাইজড কনস্ট্রাকশন করেছিল। এ কারণে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই অংশটুকু ভেঙে দিই।”
রাজউক জানিয়েছে, ২০১১ সালে গ্রিন কোজি কটেজ বেইজমেন্টসহ আট তলার অনুমোদন নেওয়া হয়। আবাসিক কাম বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া ওই ভবনটির নিচ তলা থেকে পঞ্চমতলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং উপরের অংশ আবাসিক ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। ভবনের কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে।
রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই ওই ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ কারণে ভবন মালিককে ২০১৯ সালে নোটিস দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনের কিছু অংশ ভেঙে দেয় রাজউক।
ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো ভবন নির্মাণ করা হলে সেটি ব্যবহার বা বসবাসের আগে ব্যবহার সনদ বা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিতে হয়। একটি ভবন সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে কি-না, ভবনটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি-না, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ।