দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন এই হেফাজত নেতা।
Published : 25 Apr 2023, 07:22 PM
মোহাম্মদপুর থানার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের জামিন আবেদন আবারও নাকচ করেছে ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জামিন আবেদনের শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আবেদন নাকচ করে দেন ঢাকার ৮ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফসা ঝুমা।
এরআগে ২ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতেও (সিএমএম) মামুনুল হকের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছিল।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ২০২০ সালের ৭ মার্চ মোহাম্মদপুরে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভাঙচুরের ঘটনায় করা এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার শুনানিতে মামুনুলের আইনজীবী বলেন, “২০২০ সালের এপ্রিল মাসে দায়ের করা এ মামলায় এক বছর পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যে মামলায় এখনও কোন অভিযোগপত্র জমা পড়েনি। একটি মসজিদে ঢুকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা এবং হত্যাচেষ্টার মামলা। এ মামলায় একটি লোককে কতদিন আটকে রাখা যায়?”
রাষ্ট্রপক্ষে এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মুত্তাকিন বলেন, “এ মামলার ঘটনার মূল নির্দেশদাতা ছিলেন মামুনুল, সে কারণে তাকে এ পর্যায়ে জামিন দেওয়া ঠিক নয়।”
হেফাজতের তাণ্ডব: রিমান্ড শেষে কারাগারে মামুনুল
২০২০ সালের নভেম্বরে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন হেফাজতের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল। এরপর ডিসেম্বরে কুষ্টিয়া শহরে জাতির পিতার একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর চালানো হয়।
ভাস্কর্য বিরোধিতা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন আমির জুনাইদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
২০২১ সালের মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায়ও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।