“আজ আর আমরা তলাবিহীন ঝুড়ি না।”
Published : 31 Aug 2023, 04:26 PM
আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণের তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতীয় শোক দিবস স্মরণে অগাস্টের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, “আজকের প্রজন্ম আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। তোমরা সারা বিশ্বে ভ্রমণ করছ স্বাধীন দেশের পতাকা নিয়ে, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে। এই আত্মমর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরা নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগাবে। আর তোমরা জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করবে।”
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু সারাজীবন বাঙালির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। প্রায় ১৩ বছর তিনি কারাগার কাটিয়েছেন। তারপরেও তিনি কখনো আপোষ করেননি। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তিনি বলেছেন, ‘আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার দেশ’।
“তার ব্যক্তিগত কোনো ক্ষমতার লালসা ছিল না। তার লক্ষ্য ছিল একটাই, দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বাংলার মানুষের ভাগ্য ফেরাতে শেষ পর্যন্ত তিনি ও তার পরিবার তাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। এই ত্যাগের জন্যই আজ আমরা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নত দেশ হয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, “শোককে জাগরণের শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়েছি আমরা। সেজন্যই আজকে আমরা ১০ গুণ বেশি বাজেট ঘোষণা করি। আজ আর আমরা তলাবিহীন ঝুড়ি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, “পৃথিবীর আর কোথাও একজন নেতার অনুপস্থিতিতে যুদ্ধ হয় নাই। আমরা পেরেছি। কারণ যুদ্ধে কী স্লোগান দেবে, রণকৌশল কী হবে, সব তিনি বলে দিয়ে গেছিলেন।
“তার নামে তখন কবর খোঁড়া হয়েছিল। তাকে শীতকালে সবচেয়ে ঠান্ডা জেলে, গরমকালে সবচেয়ে গরম অঞ্চলের জেলে আনত। কিন্তু তিনি তার শারীরিক অত্যাচারের কথা কখনো বলেননি।
“রেহানা জিজ্ঞেস করেছিল, ‘ওরা তোমাকে অত্যাচার করেছিল?’ তিনি বলেছিলেন, ‘এই আলোচনা থাক। তোমরা সহ্য করতে পারবে না’। কিন্তু তারপরও তাকে, তার পরিবারকে মেরে ফেলা হল। তাকে ১৮টি গুলি করা হল। একটা মানুষকে মারার জন্য ১৮টি গুলি লাগে?”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএফএম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ফকরুদ্দীন আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা অধ্যাপক এএনএম মেশকাত উদ্দীন।
আলোচনা অনুষ্ঠান ও বিশেষ দোয়ায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশ নেন।