নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যকর বাস্তবায়নে কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা: সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা নগরীতে ৬,৩৭২ পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিরপুরে, তিন হাজার ৫৮২টি।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2024, 03:30 PM
Updated : 14 Feb 2024, 03:30 PM

নতুন পদ্ধতির শিক্ষাক্রম দেশে একটি মেধাবী জাতি তৈরি করবে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, এটি পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত নতুন শিক্ষাক্রমের ওর ভিত্তি করে পরিচালিত, যা আগামী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার সঙ্গে সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা এবং মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরের পথকে সুগম করবে।

তিনি বলেন, অতীতের মুখস্থনির্ভর ও সনদ সর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে বর্তমানে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

“শিক্ষার্থীরা মেধাশূন্য নয়, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে। নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে নতুন পদ্ধতি কীভাবে আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

ঢাকা-৫ আসনের মশিউর রহমান সজল মোল্লার প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই তেমন নয়। আগের মুখস্থনির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা প্রচলিত পরীক্ষার ধারণা থেকে ভিন্ন।

নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক কার্যকরি মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করার কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এখানে লিখিত মূল্যায়নের পাশাপাশি সমস্যার সমাধান, একক কাজ, দলীয় কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উপস্থাপন ও যোগাযোগ সক্ষমতা, সহযেগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ পর্যবেক্ষণসহ আরও নানান উপায়ে শিখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নওফেল জানান, সরকার গত ১৫ বছরে ৮২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করছে। এর মধ্যে ৫৪টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৩৭৪টি কলেজ, ৩৪৭টি স্কুল ও ৪৯টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও পিএসসি সমাপনী পরীক্ষা আবার চালুর কোনো পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই।

ঢাকা শহরে পরিত্যক্ত বাড়ি ৬,৩৭২

রাজধানী ঢাকায় ছয় হাজার ৩৭২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে বলে সংসদে তথ্য দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ঢাকা-১৯ আসনের মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরিত্যক্ত বাড়ি সব থেকে বেশি মিরপুর এলাকায়, তিন হাজার ৫৮২টি। সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে মোহাম্মপুর। এখানে রয়েছে এক হাজার ৫৪২টি পরিত্যক্ত বাড়ি।

Also Read: ‘প্রয়োজনে’ নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে পরিবর্তন: নতুন শিক্ষামন্ত্রী

Also Read: নতুন শিক্ষাক্রমের ‘বেশ কিছু’ পরিবর্তন করতে হবে: নওফেল

এছাড়া পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে গুলশানে ১২৮টি, বনানীতে ৯টি, মগবাজারে ৬২টি, তেজগাঁওয়ে ৩৬, নাখালপাড়ায় ১৯টি, ক্যান্টনমেন্টে ২৬টি, বাসাবোতে ৩৮টি, শাহহাজানপুরে ১০টি, খিলগাঁওয়ে ১২টি, জুরাইনে ২টি, মতিঝিলে ৭২টি, রমনায় ১৫৮টি, সূত্রাপুরে ৩২০টি, লালবাগে ১৭৪টি, কোতয়ালীতে ৪৬টি, ধানমন্ডিতে ৮৮টি, লালমাটিয়ায় ২৫টি, যাত্রাবাড়িতে ৪টি ও মানিকনগরে রয়েছে ১টি।

এদিকে পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে চারটি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০টি ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত পরিত্যক্ত বাড়ি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাড়াভিত্তিকে বরাদ্দ করা হচ্ছে। বিক্রয়যোগ্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরাদ্দপ্রাপ্তদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

গত তিন অর্থবছরে ঢাকা শহরের পরিত্যক্ত এসব বাড়ি হতে ১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ভাড়া আদায় হয়েছে। এ সময়ে বিক্রি থেকে পাওয়া গেছে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা।