ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ কমাতে টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণে জোর

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, দেশে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে, গ্রাম পর্যন্ত ঘরে ঘরে রেফ্রিজারেটর পৌঁছে গেছে, তাতে ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2022, 03:41 PM
Updated : 19 Sept 2022, 03:41 PM

বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তরের ক্ষতি কমিয়ে আনতে দেশের সব ইলেকট্রনিক সামগ্রী মেরামতকারীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। 

সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে বিশ্ব ওজোন দিবসের আলোচনায় উপমন্ত্রী বলেন, শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি ও গ্রাম পর্যন্ত ঘরে ঘরে রেফ্রিজারেটর পৌঁছে যাওয়ায় ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ছে। 

“দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এসব যন্ত্র যখন নষ্ট হয়, তখন দেখা যায় টেকনিশিয়ানরা যথাযথভাবে মেরামত করতে পারে না। তখনই এটি পরিবেশের আরও ক্ষতি করে। সেজন্য জেলা পর্যায় পর্যন্ত সব টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।” 

মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে এদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, “অনেক সময় বিস্ফোরণও হচ্ছে। সেজন্যই ফ্রিজ, এসি রিপেয়ারিং সিস্টেমের সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে।” 

ওজোনস্তরের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদনে বিশ্বের দশমিক ৪৭ শতাংশ দায় বাংলাদেশের ওপরও পড়ে জানিয়ে হাবিবুন নাহার বলেন, “আমরা খুবই কম দায়ী। অন্যান্য দেশ থেকে আমাদের দেশে ক্ষতিকর গ্যাস আসা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

“আমাদের ওষুধ কোম্পানিগুলো স্প্রেতে নানা ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস ব্যবহার করে। এগুলো কমিয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে হবে।” 

দেশে তৈরি এসি যেন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়, সেদিকে নজর দিতে বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। 

সরকার ওজোনস্তর রক্ষায় ‘অঙ্গীকারাবদ্ধ’ জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এইচসিএফসি (হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন) এর ব্যবহার রোধের দিক নির্দেশনা সংবলিত ন্যাশনাল কুলিং প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে।” 

ওজোনস্তর ও জলবায়ুবান্ধব বিকল্প প্রযুক্তি আনার ওপর জোর দিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭.৫০ শতাংশ এইচসিএফসি-এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এর ফলে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে। উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হবে।” 

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, অ্যারোসল, ওষুধ, রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনিং শিল্প কারখানায় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তির উৎপাদন ও তা ব্যবহারে বাংলাদেশ তাৎপযপূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছে। 

“এজন্য এ খাত সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, টেকনিশিয়ানদের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।” 

অন্যদের মধ্যে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান; ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, পরিবেশ অধিদপ্তরের ওডিএস প্রকল্পের পরিচালক জিয়াউল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।