ঈদি আমিনের বোনসহ তিনজন ৩ দিনের রিমান্ডে

জঙ্গি ছিনতাইয়ের পর ঈদিকে আশ্রয় দেন এই তিনজন।

আদালত প্রতিবেদক
Published : 29 Nov 2022, 03:44 PM
Updated : 29 Nov 2022, 03:44 PM

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় আত্মসমর্পণ করা ঈদি আমিনের বোন খোদেজা আক্তার লিপি, মামা শ্বশুর নাসির মিয়া ফারুক ও স্বজন তানভীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি।

মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন মহানগর হাকিম শাকিল আহম্মেদ।

ঈদি আমিনকে আশ্রয় দেওয়া ওই তিনজনকে এ দিন আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসি পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার জসিম উদদীন জানান, ঈদি আমিনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটক থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত চত্বর থেকে আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার দিন আমিনও ছিলেন আদালতে।

মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় জামিনে থাকা আমিনসহ দুজন সেদিন আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন।

প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মইনুল ও সোহেলও ওই মামলার আসামি। সেই মামলার শুনানিতে তাদের গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

Also Read: জঙ্গি ছিনতাই মামলার এক আসামির আত্মসমর্পণ

মইনুল ও সোহেলকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা পুলিশের উপর হামলা করে ও পেপার স্প্রে ছুড়ে দুজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। এ মামলার আসামি ঈদি আমিন গত ২৭ নভেম্বর ঈদি আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত।

একই মামলায় তার আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবারের আবেদনে বলা হয়, রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২২ নভেম্বর লিপি আক্তারের পূর্ব গোড়ানের বাসায় ছিলেন ঈদি আমিন। সেখান থেকে মামা শ্বশুর নাসির মিয়ার বিজয়নগরের বাসায় যান।

সেখানে ২২ নভেম্বর রাত থেকে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর তার বাসায় অবস্থান করেন। এরপর ২৫ নভেম্বর মধ্য বাসাবো এলাকায় স্বজন তানভীরের বাসায় যান। সেখানে তিনি ২৫ ও ২৬ নভেম্বর অবস্থান করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “এই তিন আসামি জানতো ঈদি আমিন একজন পলাতক এবং সে সন্ত্রাস বিরোধ আইনের অপরাধ সংগঠন করেছে। এটা জেনে এবং বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকা স্বত্ত্বেও ঈদি আমিনকে শাস্তি থেকে রক্ষা করার অভিপ্রায়ে তাকে আশ্রয় দেয়।”

এ তিন আসামি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কি না, সদস্য হয়ে থাকলে তাদের সাথে আরও কারা কারা জড়িত আছে তাদের শনাক্তকরণে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আজাদ।