দায়রা জজের দেওয়া ৯ আসামির জামিন আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে রুল দিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Published : 27 Jul 2023, 04:08 PM
বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন না হওয়া ৯ আসামিকে একই দিনে বিধিবহির্ভূতভাবে জামিন দেওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে হাই কোর্ট থেকে রেহাই পেয়েছেন কক্সবাজার জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল।
তবে জেলা জজের দেওয়া ৯ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা ব্যাখ্যা করতে বলেছে আদালত।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল এ সময় আদালতে হাজির ছিলেন ।
ইসমাঈলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কাশেম ও আরিফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে দুদিনের শুনানিকালে জেলা জজকে ভর্ৎসনা করেন এই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক। বৃহস্পতিবার শুনানির এক পর্যায়ে জজ মন থেকে ক্ষমা চেয়েছেন কি না জানতে চায় আদালত। তখন মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, তিনি মন থেকেই ক্ষমা চেয়েছেন।
আইনজীবী আলতাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজকে হাই কোর্ট অব্যাহতি দিয়েছে। একই সঙ্গে ওই মামলায় দায়রা জজের দেওয়া জামিন আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
জমি দখল নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি দেখানো ও আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে কক্সবাজারের রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ নয়জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেছিলেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রিনা।
গত ১১ এপ্রিল ওই মামলায় আসামিরা হাই কোর্টে আগাম জামিন চাইলে তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেয় আদালত। সেই মেয়াদ শেষে গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কক্সবাজার জেলা জজের ক্ষমার আবেদন নেয়নি আদালত, বৃহস্পতিবার ফের শুনানি
এটা তো ভুল নয়, অপরাধ: কক্সবাজারের জজকে হাই কোর্ট
কিন্তু একইদিন আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন এবং তাদের আবেদন মঞ্জুর হয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করেন চেয়ারম্যান রিনা। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজকে তলব করে হাই কোর্ট।