শুনানি শেষে আদালত কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠনের মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেয়।
Published : 28 Jan 2024, 05:13 PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা দুই মামলার একটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
অপর মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন রাখা হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ দিন ধার্য করেন।
এদিন দুই মামলাতেই খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠনের মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেয়।
আর নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয় বলে জানান আদালতের ভারপ্রাপ্ত পেশকার জুয়েল রানা।
শুনানির সময় আদালতে ছিলেন খাদিজাতুল কুবরা।
১৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি মিলল জবি শিক্ষার্থী খাদিজার
তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাতেন। সেখানে ‘সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’ করার অভিযোগে ২০২০ সালে খাদিজা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয় কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা ওই দুই মামলার এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম। মামলার দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ অগাস্ট খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। তখন থেকে কারাগারে ছিলেন এই শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর অধস্তন আদালতে খাদিজার জামিন আবেদন কয়েক দফায় নাকচ হয়েছে। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট তাকে জামিন দিলেও তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ জুলাই বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে। পরে আদালত বিষয়টি চার মাসের জন্য মুলতবি করে।
গত ১৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাই কোর্টের জামিন আদেশই বহাল থাকে।
এরপর ২০ নভেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।