যেসব সামাজিক নিয়মের বিরুদ্ধে নারীদের লড়াই করতে হয়, সে বিষয়গুলোও উঠে এসেছে তাদের কথায়।
Published : 30 Nov 2023, 09:57 PM
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরল কিশোরীরা।
বৃহস্পতিবার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সংলাপে অংশ নিয়ে তারা বাল্য বিয়ে, শিক্ষা থেকে ঝরেপড়া এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে কথা বলে।
প্রতিনিয়ত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, সেগুলো ছাড়াও যেসব সামাজিক নিয়মের বিরুদ্ধে নারীদের লড়াই করতে হয়, সে বিষয়গুলোও আসে তাদের কথায়।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংলাপে কিশোরীদের সমস্যাগুলোর বাস্তব ও টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়।
“এই অধিবেশনের উদ্দেশ্য ছিল কিশোরীদের সম্ভাবনার দিকগুলোতে আলকপাত করা এবং কিশোরী অ্যাক্টিভিস্টদের সুরক্ষা ও সমর্থন করার জন্য তাদের কণ্ঠস্বরকে আরও বেগবান করা।”
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস থেকে ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসের মধ্যে ১৬ দিনব্যাপী নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হয়।
এ লক্ষ্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং কিশোরীদের নিয়ে এই সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস বলেন, “বর্তমানে সারা বিশ্বে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা একটি চলমান যুদ্ধ। এ লক্ষ্যে গণসচেতনতা তৈরির জন্য আইন প্রণয়ন সংস্থার সাথে অ্যাডভোকেসি অপরিহার্য।
“চলমান স্টেরিওটাইপগুলোকে ভেঙে এবং সমাজে শক্তিশালী পরিবর্তন আনতে কমিউনিটি এবং পরিবারগুলোতে আরও জোরালোভাবে কাজ করতে হবে।”
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, জেন্ডার সমতা মানে সমাজে নারী ও মেয়ে শিশুদের অপরিহার্য সম্পদ হিসেবে দেখা। এখন পর্যন্ত বাল্যবিবাহ হল জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ।
“আমরা বিশ্বাস করি যে, কিশোরী এবং নারীরা তাদের নিজেদের জীবনের দায়িত্ব নিতে সক্ষম। এই লক্ষেই আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য আইন ও নীতির পর্যায়ে পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছি।”
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক বলেন, পূর্ণ সম্ভাবনা ও বিকাশ অর্জনের জন্য একটি মেয়ে শিশুর ক্রমাগত ১২ বছরের শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রাসঙ্গিক। পাশাপাশি এক্ষেত্রে ছেলেদেরও অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে সারাহ কুক বলেন, সমাজে বিদ্যমান সামাজিক রীতিনীতি পরিবর্তন করতে এবং নারী ও কিশোরীদের বিকাশের সম্ভাবনা খুঁজে পেতে আমাদের সবাইকে সবস্তরে একসাথে কাজ করতে হবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ইনফ্লুয়েন্সিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইন বিভাগের পরিচালক নিশাত সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।