“কয়েকঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না বলতে গিয়ে হয়তো বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ সারাদিন বলে ফেলেছেন,” সংসদে বলেন প্রতিমন্ত্রী।
Published : 25 Feb 2024, 06:36 PM
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, কোনো এলাকায় ট্রান্সফরমার বা ট্রান্সমিশন লাইনে সমস্যা ছাড়া সারাদেশে সারা দিন বিদ্যুৎ থাকে না, এটা স্বপ্নে এখন দেখা যেতে পারে। লোড শেডিংয়ের কারণে সাময়িক বিঘ্ন হতে পারে।
রোববার জাতীয় সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিন সকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন বসে।
সম্পূরক প্রশ্নে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তার নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না, লোড শেডিং লেগেই থাকে। পরশু দিনও সারাদিন বিদ্যুৎ ছিল না।
“প্রতিদিন লোড শেডিং হচ্ছে, এখনও গরম আসেনি। রেন্টাল, কুইক রেন্টালে যারা বিদ্যুৎ তৈরি করছে, গত ১০-১২ বছরে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা জরিমানা দিয়েছেন, বসিয়ে বসিয়ে এখনও দেওয়া হচ্ছে, তাহলে বিদ্যুতের অভাব কেন, কেন লোড শেডিং?”
জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সহাস্যে বলেন, “উনি বলছেন, সারাদিন উনার এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না, এটা নিয়ে আমার একটু সন্দেহ আছে। এখানে ৩০০ সংসদ সদস্য যারা আছেন, তারা একবাক্যে স্বীকার করবেন, সারাদিন কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না-এটা ঠিক না। আমি মনে করি, হয়তো বা উনার বাড়িতে কখনও বিদ্যুৎ থাকেনি হয়তো দুয়েক ঘণ্টা, এটা একটা হতে পারে।”
বিপু বলতে থাকেন, “অথবা হতে পারে তার ইউনিয়নে কোনো একটা ট্রান্সফরমারে কোনো একটা সমস্যা হয়েছে অথবা ট্রান্সমিশন লাইন চলে গেছে, সেটা হতে পারে। সেটা মেরামত করতে দুই-তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।
“উনি (চুন্নু) যেভাবে বললেন, ‘এখন লোড শেডিং, সারাদিন (বিদ্যুৎ) চলে না’…আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এখানে সারা দেশের সংসদ সদস্যরা রয়েছেন; তারাও একমত হবেন, সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না-এটা স্বপ্নে এখন দেখা দিতে পারে হয়ত, আমি বলতে পারি। কয়েকঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না বলতে গিয়ে হয়তো বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ সারাদিন বলে ফেলেছেন।”
বেসরকারি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রাখলেও সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা ছিল। সেসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সরকারের করা চুক্তির মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালে ৫টি কুইক রেন্টালের মেয়াদ দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়। তবে নতুন চুক্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে থাকলে আগের মতো ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এখন কুইক রেন্টাল নেই। উনি হয়ত তথ্য নেন না। অল্প সময়ের জন্য ভাড়া নিয়েছিলাম, সেগুলো এখন নেই। এমনকি ডিজেল পাওয়ার প্ল্যান্ট ১ হাজার মেগাওয়াট আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।”
কোনো এলাকায় ট্রান্সফরমারে সমস্যা বা লাইনে সমস্যা হলে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান বিপু।
“যেকোনো এলাকায় বিদ্যুতের অফিস আছে, হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেলে জানতে পারবেন…এখন যদি যায় সাময়িকভাবে। এখন আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কাজ করছি। এমন নিরবচ্ছিন্ন, যাতে এক মিনিটও বিদ্যুৎ না যায়। এটার জন্য সময় দিতে হবে।”
আরও পড়ুন: