ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম’র ৪৫ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2023, 02:00 PM
Updated : 12 May 2023, 02:00 PM

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের জন্য ৪৫টি বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।

শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, তারা ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোবাইল মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় এসব অবকাঠামো শক্তিশালী করা হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসোয়েভ বলেন, “সরকারি ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে আইওএম স্বেচ্ছাসেবকদের দলটি প্রস্তুত রয়েছে। সব ধরনের সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত।” 

ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের সাড়ে নয়শ কিলোমিটারের মধ্যে হাজির হয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’।

বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে আগামী রোববার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তারা বলছেন, বাংলাদেশে ঝড়ের মূল ধাক্কা লাগতে পারে কক্সবাজার জেলায়, আর এ বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে টেকনাফ উপজেলা।

এই কক্সবাজারেই দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। টিন, বাঁশ, কাঠ ও পলিথিন দিয়ে বানানো ঘরে রোহিঙ্গারা কীভাবে এই ঝড়কে সামলাবেন, সেই প্রশ্নে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

আইওএম এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি কক্সবাজার। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিধস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুযোর্গের প্রভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশে আইওএম সহকারী মিশন প্রধান নিহান এরদোগান বলেন, আইওএম পরিচালিত ১৭টি ক্যাম্পের প্রত্যেকটিতে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সচেতনতা বাড়াতেও স্বেচ্ছাসেবকরা সর্বদা তৎপর রয়েছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে আইওএমের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সামনের বছরগুলোতে এমন প্রাকৃতিক ‘বিপর্যয়’ আরও ঘন ঘন ঘটবে। জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতির মতো বিষয়গুলো একই সঙ্গে যুক্ত। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি সংস্থাগুলোকে টেকসই জলবায়ু অভিযোজনের প্রস্তুতি নিতে হবে।”