গাইবান্ধায় অনিয়মকারীদের শাস্তি হবে দৃষ্টান্তমূলক: রাশেদা

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2022, 12:43 PM
Updated : 15 Nov 2022, 12:43 PM

গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের বাকি ৯৪ কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। এর মধ্য দিয়ে এই আসনের সবক’টি কেন্দ্রের তদন্ত কাজ শেষ হল।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে শাস্তি হবে ‘দৃষ্টান্তমূলক’।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় পুরো আসনের এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি।

এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনিয়মে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি ছয় শতাধিক ব্যক্তির সাক্ষ্য নিয়ে ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দিয়েছে।

তবে ৫১টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানিয়ে সিইসি গত ৫ নভেম্বর বলেছিলেন, বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনও এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাশেদা চৌধুরী জানান, বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদনই ইসির কাছে জমা পড়েছে।

তিনি বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। তবে এটা নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করিনি। দু’একদিনের মধ্যে এটা নিয়ে বসব। শিগগিরই এ বিষয়ে আমরা জানাব। আশা করছি, সামনের সপ্তাহে এর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।”

দুটো প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ঘটনার সাথে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“কিন্তু কী ব্যবস্থা হবে, কীভাবে নেওয়া হবে, এই বিষয়ে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। আলোচনা না করে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হবে।”

ইভিএমে রিরাইট, এডিটের সুযোগ নেই: আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) চিপ এমনভাবে তৈরি যে এটা ওয়ানটাইম ইউজেবল। এখানে রিরাইট করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করারও কোনো সুযোগ নেই।

“অনেকেই বলেন যে এটা একটা কারচুপির মেশিন। আসলে আমরা এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা নিয়েছি, তাতে দেখেছি যে ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।”

তিনি বলেন, “কারণ আমরা তো কারিগরি দিক থেকে এক্সপার্ট না, যারা এক্সপার্ট তারা বলেছেন। দলগুলোকেও ডেকেছিলাম তাদের কারিগরি টিম এনে পরীক্ষা করে দেখার জন্য।”

আলমগীর বলেন, “ইভিএম নিয়ে প্রথমেই যেটা বলা যে প্রোগ্রামিং করে ফল উল্টিয়ে দেওয়া যায়। তো তাত্ত্বিক দিক দিয়ে যারা বলেন তারা হয়তো ঠিকই বলেন। কিন্তু বাস্তবতার দিক দিয়ে এটা মোটেই ঠিক না।”