ওই কিশোরীর বাবার করা মামলায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
Published : 07 Feb 2024, 02:27 PM
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক এবং তার স্ত্রীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভূঞা বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহত প্রীতি উরাংয়ের বাবা লোকেশ উরাং এই মামলা করেন।
"মামলায় আশফাকুল এবং স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনেছেন বাদী।”
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে শাহজাহান রোডের জেনিভা ক্যাম্প সংলগ্ন ওই ভবনের ওপর থেকে পড়ে মারা যায় প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী। খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সে সময় স্থানীয়রা ওই বাড়ির ফটকে জড়ো হয়ে ‘মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ আশফাক , তানিয়াসহ তাদের পরিবারের ছয়জনকে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের দুইজনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ওসি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিত্তিঙ্গা গ্রামের লোকেশ উরাংয়ের মেয়ে প্রীতি প্রায় দুই বছর ধরে ওই বাসায় গৃহ সহায়ক হিসেবে ছিলেন।
ওসি বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত জানতে স্বামী স্ত্রী দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনা নিয়ে আশফাকুল হকের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।
ডেইলি স্টার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী ও নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় এক কিশোরী গৃহ সহায়কের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনার জন্য আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তদন্তে কী পাওয়া গেল, তা জানার অপেক্ষায় আছি আমরা।”
গত বছরের ৬ অগাস্টও একই ধরনের ঘটনা ঘটে আশফাকুল হকের বাসার। সেবার নয় বছরের এক শিশু গৃহকর্মী লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া হক ও শিল্পী নামের আরেক নারীকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা।
পুরনো খবর