দেশে প্রথমবারের মত ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি পাওয়া দুই নারী এবং কিডনি দাতা সারাহর মা প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
Published : 03 Apr 2023, 10:01 PM
কিডনি প্রতিস্থাপনসহ জটিল সার্জারি পরিচালনার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ দেশ এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন করতে সক্ষম।“
সোমবার গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুনের বরাতে বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে, শেখ হাসিনা তা মনে করিয়ে দিয়েছন।
তিনি বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ‘ব্রেইন ডেড’ মানুষের কিডনি দুজন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় গত ১৯ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে একটি দল বিএসএমএমইউর আইসিইউতে মারা যাওয়া ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর দুটি কিডনি অপসারণ করেন।
তারা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ বছর বয়সী রোগী সারাহ ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নিয়েছিল। ১৮ জানুয়ারি বিকেলে তাকে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়। সারাহর মা অপারেশনে সম্মতি দেওয়ার পর কিডনি সংগ্রহ করা হয়েছিল।
জীবিত দাতাদের কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু মৃত রোগীর কিডনি নেওয়া আইনত সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৮ সালে অঙ্গ দান আইন সংশোধিত হলে সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের সম্মতিতে মৃতদের কাছ থেকে অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি মেলে।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, কিডনি প্রতিস্থাপন রোগী শামীমা আক্তার ও হাসিনা আক্তার এবং কিডনি দাতা সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা ছিলেন।