কথা ও কবিতার মধ্য দিয়ে কবি আসাদ চৌধুরীকে স্মরণ করেছে কবিতার সংগঠন 'কথক'।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আসাদ চৌধুরীর কবিতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ছিল আবৃত্তি পরিবেশনাও।
জার্মানির কবি টোবিয়াস বুরঘাট ও ইউনা বুরঘাট অনুষ্ঠানে অনুবাদ কবিতা পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি নাসির আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া পিনু, রিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “আসাদ চৌধুরী নামের যে স্বত্তা আমার মনের মাঝে দাগ কেটে গেছে, সেটি ভুলতে পারিনি।”
পরে আসাদ চৌধুরীকে নিয়ে লেখা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন নূরুল হুদা।
কবি নাসির আহমেদ বলেন, “হৃদয়গ্রাহী করে কবিতাকে সহজিয়া ভাষায় মানুষের কাছে তুলে ধরার যে অনন্য বৈশিষ্ট আসাদ চৌধুরী গড়েছিলেন, সহজিয়া জীবন না হলে তা হয়ে উঠে না। সহজাত স্বভাবের মধ্য দিয়েই আসাদ চৌধুরী অনেক কঠিন কথা সহজ করে বলেছেন, সহজিয়া ছন্দে।”
রিয়াজ আহমেদ বলেন, “আসাদ ভাই ষাট দশকের অন্যতম কবি। কিন্তু, সমসাময়িক কবিতার চর্চায়ও তিনি ভীষণ রকম প্রভাব বিস্তার করেন। এই প্রজন্মের মাঝেও তিনি সমানতালে জনপ্রিয়।”
অনুষ্ঠানে আবৃত্তি সংগঠন 'শ্রুতিঘর' এর আবৃত্তিশিল্পীরা কবি আসাদ চৌধুরীর কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আমিনুর রহমান।
গত ৫ অক্টোবর কানাডার একটি হাসপাতালে মারা যান কবি আসাদ চৌধুরী। ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
গত শতকের সত্তরের দশক থেকে কবিতার পাশাপাশি আসাদ চৌধুরী লিখে গেছেন প্রবন্ধ, শিশুতোষ গল্প ও কবিতা, অনুবাদ, ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থ। এ পর্যন্ত প্রায় চার ডজন বই প্রকাশিত হয়েছে তার।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান তিনি।