সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনটিতে নিখোঁজদের অনুসন্ধান বন্ধ হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাতে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, “বিকালে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও অন্তত আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযান শেষ করিনি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের কাছে যতক্ষণ নিখোঁজের অভিযোগ থাকবে ততক্ষণ অভিযান চলবে।”
নর্থ সাউথ সড়কের পাশের ক্যাফে কুইন নামে পরিচিত ভবনটিতে মঙ্গলবার বিকালে ঘটে বিস্ফোরণ। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জন।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বিস্ফোরণে ভবনটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে বলে উদ্ধার অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। ভবন ধসে পড়ার শঙ্কায় তারা ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন না।
দিনমনি শর্মা বলেন, “গতকাল যেভাবে উদ্ধার কাজ করেছিলাম, সেভাবেই আজও উদ্ধার কাজ করেছি। তবে ভবনটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় সতর্কতার সঙ্গে আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে আমাদের কর্মীদের কোনো বিপদে পড়তে না হয়।”
এখন কীভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে- জানতে চাইলে ফায়ার সর্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, “এখন ভবনের ভেঙে পড়া দেয়াল, গ্লাসসহ অন্যান্য ধ্বংসস্তূপ বের করে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির সহায়তায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এরপর নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
ওই ভবনের বেইজমেন্টে বাংলাদেশ স্যানেটারির ম্যানেজার মেহেদী হাসান স্বপন (৩৮) নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার স্বজনদের দাবি। তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে।
বুধবার বিকালে উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি হল আনিকা ট্রেডার্সের মালিক মোমিন হোসেন সুমন (৪৫) ও তার কর্মচারী রবিন হোসেন শান্তর (২০)।
এদিকে বুধবার রাত ৮টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের আশপাশের ভবনগুলোতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে বিস্ফোরণের পর সেখানে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।