অবশেষে পূরণ হচ্ছে বাইকারদের দাবি, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সরকার, আর তা কার্যকর হচ্ছে ঈদের আগেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।
মঙ্গলবার গণভবনে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সার্ভিস লেইন ব্যবহার করে মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করা যাবে। সার্ভিস লেইন ছেড়ে সেতুর মূল লেইনে প্রবেশ করা যাবে না।"
মোটরসাইকেলকে গতিসীমা মেনে পদ্মা সেতু পার হতে হবে জানিয়ে কাদের বলেন, "মোটর সাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।"
শৃঙ্খলা না মানলে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলার সুযোগটি বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন মন্ত্রী। বাইকারদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, "আশা করি আপনারা সুযোগটি নষ্ট করবেন না।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পর গতবছরের ২৬ জুন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিনেই সেখানে ঢল নামে মোটর বাইকের আরোহীদের। তারা সেতুর উপর উঠে দল বেঁধে আনন্দ-উল্লাস আর হৈ-হুল্লোড়ে মাতেন।
সেই রাতে বাইক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলে ২৭ জুন ভোর থেকে পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ।
বাইকাররা ভেবেছিলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের উন্মাদনাও থিতিয়ে এলে দ্রুতই হয়ত স্বপ্নের সেতুতে আবার মোটর সাইকেল চলাচলের অনুমতি মিলবে। কিন্তু সেজন্য তাদের অপেক্ষা করতে হল দশ মাস।
ওবায়দুল কাদের গত মার্চ মাসেও বলেছিলেন, পদ্মা সেতু ‘শান্তিতে আছে’, সেখানে মোটর সাইকেল ‘আপাতত না’। এর এক মাসের মাথায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওই অনুমতি দেওয়ার কথা বললেন।
এবারের ঈদযাত্রার আগে সড়কের পরিস্থিতি নিয়ে গত ২ এপ্রিল ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সেদিন বলেন, মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রার সুযোগ দিলে রাজধানীর ৫ থেকে ৬ লাখ বাইকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারেন। এতে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ‘বহুলাংশে বেড়ে যাবে’।