মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে নারীপক্ষ এই কর্মসূচি পালন করে আসছে।
Published : 12 Dec 2022, 11:18 PM
‘স্বাধীনতার ৫১ বছর:বীরাঙ্গনার অবহেলা-অপমান এবার হোক অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে নারী অধিকার সংগঠন নারীপক্ষ।
‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে উপস্থিত সবাই একটি করে আলোর শিখা জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় বক্তারা স্বাধীনতার ৫১ বছরে বীরাঙ্গনাদের যে অবহেলা ও অপমান হয়েছে, তার অবসানের দাবি জানান।
রোববার সন্ধ্যায় ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ নামে এক অনুষ্ঠানে এই আয়োজন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে নারীপক্ষ এই কর্মসূচি পালন করে আসছে।
অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য রেহানা সামদানী। স্মৃতিচারণ করেন ডা. হালিদা হানম। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ধানমণ্ডিতে অবস্থিত সেবা সদনে বীরাঙ্গনাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “সেবা সদনে ৩৫ বীরাঙ্গনাকে সেবদানের সুযোগ পেয়েছিলাম, যা আমার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ওই সময় খুব কাছ থেকে বীরাঙ্গনাদের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা অনুভব করতে পেরেছি। এই বীরাঙ্গনাদের সম্ভ্রমের সঙ্গে তাদের বাড়িঘর, পরিবার, নিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও জীবন-সংসার সব হারিয়ে গেছে।“
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নারীপক্ষ প্রযোজিত ও পরিচালিত তথ্যচিত্র ‘বীরাঙ্গনা আখ্যান’ প্রদর্শিত হয়। এই চিত্রে ময়মনসিংহের বীরাঙ্গনা জেলেখা খাতুন ও মৌলভীবাজারের বীরাঙ্গনা জয়গুন নাহারের জীবন অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।