শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণের ৪-আসনে।
Published : 07 Jan 2024, 09:29 AM
পৌষের শীতের সকালে ভোটগ্রণের সময় শুরুর আগেই কেন্দ্রে এসেছিলেন দক্ষিণের দুয়ার ঢাকা-৪ আসনের ভোটার ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন। ঢাকার শ্যামপুরের ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে আধাঘণ্টা অপেক্ষার পর ঠিক ৮টায় বুথে ঢুকে এ কেন্দ্রের প্রথম ভোটটি দেন তিনি।
সরোয়ার বলেন, “নাগরিক দায়িত্ব পালনে ভোট দিলাম। আমার মনোনীত প্রার্থী যেন জেতে, সেটা চাই। প্রত্যাশা, যাকে ভোট দিলাম তিনি জিতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের খেদমত করবেন।“
এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা প্রথম নারী ভোটার আরতি মণ্ডল। ষাটোর্ধ্ব এই নারী ভোট দিতে আসেন নাতির হাত ধরে।
সরোয়ারের মত আরও কিছু ভোটরকে সকাল ৮টার আগেই কেন্দ্রে দেখা যায়। তবে তেমন ভিড় না থাকায় ভোট দিতে সময় লাগেনি কারো।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৮টায় নিয়ম মেনে ভোট শুরু হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট শুরু করলাম। বৈধভাবে সারাদিন ভোট চলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের সাতটি বুথে।"
শুরুর আধাঘণ্টার ভোটের হিসাব তুলে ধরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, “সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পুরুষ কেন্দ্রে ৫৫টি ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টদের সবাই এখানকার ভোটার। তারা সবাই ভোট দিয়েছেন। এতে সংখ্যা বেড়েছে।“
এখানকার নারী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেব ব্রত মণ্ডল জানান, বেলা সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৬ জনের।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শ্যামপুরের ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৩৯০; নারী ভোট ৩ হাজার ৩২৪টি।
ঢাকা-৪ আসনের ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় নারী কেন্দ্রে আসা প্রথম ভোটার হওয়া শিল্পী আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথমবার ভোটার হলাম। ঝামেলা ছাড়া ভোট দিতে পারলাম- ভালো লাগছে। আশা করব সবাই মানুষের জন্য কাজ করুক। আমার প্রার্থী যেন জিতে তাই প্রথমবার তাকেই ভোট দিলাম।“
ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সানজিদা খানম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন এবং আওয়ামী লীগের সমর্থনে হওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবার প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে দলছুট বাবলা এখন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান।
এর বাইরে আরো ছয় প্রার্থী রয়েছেন ভোটের মাঠে। নারী-পুরুষ মিলিয়ে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৭ জন ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র করা হয় ৭৭টি।
কেন্দ্র সংখ্যা ঠিক থাকলেও ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচেন ভোটার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৪৫ হাজার ৯০৮ জন।
স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে তিনবার (১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮) আওয়ামী লীগ, তিন বার জাতীয় পার্টি (১৯৮৮ সালে একক এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দু’বার আওয়ামী লীগের সমর্থনে), চার বার বিএনপি (১৯৭৯, ১৯৯১,১৯৯৬ ও ২০০১) ও একবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর (১৯৮৬ স্বতন্ত্র সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা) দখলে ছিল।
রোববার সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনে ৪২ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে এই ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে গণনা।