আসছে ডিসেম্বর মাস থেকেই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই বৃত্তি চালু হবে।
Published : 21 Oct 2022, 06:35 PM
রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি ও বাউলগানসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছেন, আসছে ডিসেম্বর মাস থেকেই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই বৃত্তি চালু হবে। তাছাড়া গবেষণা কাজে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত অনুদানও দেওয়া হবে।
শুক্রবার বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থা আয়োজিত 'বিশ্ব সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের বাউল ও লোকদর্শন' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রশিক্ষণ কক্ষে এ সেমিনার ও কর্মশালা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "লালন সাঁইজির আগমনের মধ্য দিয়ে বাউল মতবাদের উন্মেষ ঘটে। বাউল সংগীতে সাইঁজি ও গুরুর প্রতি যে শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ দেখা যায়, সংগীতের অন্য শাখায় তেমনটি কম দেখা যায়।
“ভারতবর্ষ বিশ্বের মধ্যে একটি বৈচিত্র্যময় অঞ্চল। এর ইতিহাস ও ভূগোল উভয়ই বৈচিত্র্যপূর্ণ। বৈচিত্র্যের সেই প্রবাহ এ দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেও লক্ষণীয়। অতি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার মানুষ মরমীবাদ ও ভাববাদে বিশ্বাসী হয়ে তাদের জীবন পরিচালনা করে আসছে।
বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থার সভাপতি বাউল শফি মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন ঢাকার চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লিয়েন উই ও বিশিষ্ট লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাকলী ধরা মণ্ডল। আলোচনা করেন ফ্রান্সের লালন গবেষক ড. দেবোরা জান্নাত, যুক্তরাষ্ট্রের লালন গবেষক কিথ ই কান্তু, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক তপন বাগচী ও বাউল গবেষক আবদেল মান্নানখ।
এ সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন রুবেল সাইদুল আলম। লালন গবেষক সরদার হিরক রাজার সঞ্চালনায় সূচনা সংগীত পরিবেশন করেন সমির বাউল।