“দীর্ঘদিন আমাদের মধ্যে সম্পর্ক থমকে ছিল, একে অন্যের অভাব বোধ করেছি। এখন সে প্রতিবন্ধকতা দূর করার সময় এসেছে।”
Published : 17 Apr 2025, 09:18 PM
পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য ও ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কিন্তু আমাদের তা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পথ খুঁজে বের করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে আমনা বালুচ ঢাকায় আসেন।
উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে অতীতের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে তিনি বলেন, এখন দুই দেশের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর উপায় খুঁজতে হবে।
আমনা বালুচ বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যে বিশাল আঞ্চলিক বাজার রয়েছে। আমরা তা ব্যবহার করতে পারছি না। প্রতিবার সুযোগ হাতছাড়া করা চলবে না।”
তিনি দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসায়িক পর্যায়ের (বিটুবি) সংযোগ এবং সর্বস্তরে সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফপিসিসিআই-এর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে এসে এফবিসিসিআই-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন বাংলাদেশ সফর সম্পর্কোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন আমনা বালুচ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বরাবরই সার্ক কাঠামোর আওতায় পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে।
“মানুষে-মানুষে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে যুব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানো উচিত,” বলেন তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “দীর্ঘদিন আমাদের মধ্যে সম্পর্ক থমকে ছিল, একে অন্যের অভাব বোধ করেছি। এখন সে প্রতিবন্ধকতা দূর করার সময় এসেছে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন (ইউএনজিএ) ও ডিসেম্বরে কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “এসব বৈঠক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির পথে সহায়ক ছিল।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভবিষ্যতেও সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮-এর মত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।
বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ ও পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।
আগের খবর: