পলাশী বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা তুলতেন বলে পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানান।
Published : 04 Jun 2024, 07:37 PM
ঢাকার পলাশী বাজারে চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে মারধরের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী কাজী মো. শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে মঙ্গলবার চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মো. সেলিম জানান।
পলাশী বাজারে রোববার রাতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ব্যব্সায়ীদের হাতে পিটুনির শিকার হন মেহেদী ও শহিদুল।
চকবাজার থানার ওসি কাজী শাহিদুজ্জামান জানান, তারা দুজন নিয়মিত পলাশী বাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা তুলতেন। রোববার রাতে তারা এসে চাঁদা নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখান। পরে দোকানিরা মিলে তাদের আটকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন।
পলাশী দোকান মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ১১টার দিকে এসে ওই ছাত্রলীগ নেতা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। বাধা দিলে সে নজরুল নামে এক ব্যবসায়ী মারধর করে এবং চাপাতি দিয়ে কোপাতে যায়। সে (ব্যবসায়ী) দৌড়ে পালিয়ে গেলে আমাকে চাপাতি দিয়ে মারতে আসে।
“আশপাশে থাকা দোকানিরা তাদেরকে ধরে ফেলে আমাকে উদ্ধার করে। তারপর সবাই মিলে পিটুনি দেয়। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে নিয়ে যায়।”
এ ঘটনায় পলাশী বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হলে তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার মডেল থানার উপ পরিদর্শক মো. আলমগীর তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে মাদকসহ আটক হন তিনি। সেসময় হল প্রশাসন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেয়।
মদের বারে মারামারির পর ২০১৪ সালে সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।