উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সরকারপ্রধান নতুন এই পথে ট্রেনে করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রওনা হন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হন ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১ জন; যাদের মধ্যে গার্মেন্ট কর্মী, হকার, বাসচালক থেকে শুরু করে স্কুলের খুদে শিক্ষার্থী রয়েছেন।
Published : 10 Oct 2023, 12:37 PM
প্রমত্তা পদ্মার বুকে সড়ক সেতুর পর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে চলল ট্রেন। আর এর মধ্যে দিয়ে পূরণ হলো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশনে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে রওনা হয়ে পৌনে ১১টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছান সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হয়েছেন তার বোন শেখ রেহানা।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেনা প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন।
পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের পর ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা রেলসেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথের উদ্বোধন করেন। পরে দোয়ায় অংশ নেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা রেলসেতুর একটি রেপ্লিকা উপহার দেওয়া হয়।
উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সরকারপ্রধান নতুন এই পথে ট্রেনে করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রওনা হন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হন ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১ জন; যাদের মধ্যে গার্মেন্ট কর্মী, হকার, বাসচালক থেকে শুরু করে স্কুলের খুদে শিক্ষার্থী রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি আমিনুর রহমান ফরিদ, সবজি বিক্রেতা হেলাল উদ্দিন, গার্মেন্ট কর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাসের চালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, আদর্শ পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান এবং মাদরাসা শিক্ষার্থী জান্নতুল ফেরদাউস।
ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম মাঠে দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি বক্তব্য দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সফরসূচী অনুযায়ী, ভাঙ্গায় জনসভা শেষ করে প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে রওনা হয়ে বিকালে পৌঁছবেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়ায় অংশ নেবেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করে পরদিন দুপুরে তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।