“এগুলোতো আপনারা ডেকে আনার চেষ্টা করতেছেন। আপনারা কি নিষেধাজ্ঞা চান?"
Published : 08 Oct 2023, 10:39 PM
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক লেখার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মাথায় ‘গণ্ডগোল’ থাকার কারণে এগুলো ‘বানাচ্ছে’ সাংবাদিকরা।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
‘আসছে মার্কিনি ঝড়’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় সম্পাদক আবেদ খানের লেখা ওই মতামত কলামের বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পত্রপত্রিকাতো একটু বাড়ায়া বলে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মচারী এবং অনেক আইনপ্রণেতার সাথে আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে অনেক যোগাযোগ হচ্ছে, একজনও বলে নাই, যে ঝড় আসবে।
“আপনারা এগুলো বানান, আপনাদের মাথামগজের মধ্যে কিছু গণ্ডগোল আছে, এজন্য। তারা চায় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এর চেয়ে বেশি কিছু তারা চায় নাই। তারা কেউ বলে নাই কখনও যে, কেয়ারটেকার হবে, শব্দই কারও মুখ কখনও উচ্চারিত হয় নাই।”
সংঘাতমুক্ত নির্বাচনের ‘গ্যারান্টি দিতে পারব না’: যুক্তরাষ্ট্রকে মোমেন
গত শনিবার দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত ওই কলামে সম্পাদক আবেদ খান লেখেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এক বিপজ্জনক অর্থনৈতিক ঘূর্ণিবার্তার ঝাপটা আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই ঝাপটা আসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা অর্থনৈতিক মহল থেকে। এ ব্যাপারে পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক মোড়লরা এখন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে।”
তিনি আরও লেখেন, “আমার তথ্যসূত্র যদি ভুল বার্তা না দেয়, তাহলে অনুমান করতে পারি দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে এবং এ বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।”
এ লেখার বিষয়েই মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর বিফ্রিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে।
এসময় বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এগুলোতো আপনারা ডেকে আনার চেষ্টা করতেছেন। আপনারা কি নিষেধাজ্ঞা চান? আপনারা বোধহয় চান, সেজন্য ডেকে আনার চেষ্টা করতেছেন। ওখানে কেউ নিষেধাজ্ঞার কথা বলে নাই, কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার কথা বলে নাই।
“একমাত্র যেটা হয়েছে, তারা ভিসা পলিসি করেছে। সেখানেও বলে নাই ভিসা পলিসিতে কাকে আনা হয়েছে, আপনারা এগুলো ডেকে ডেকে বলেন।”
নিষেধাজ্ঞার বিভিন্ন রকম হাতিয়ার থাকার যে কথা যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সে বিষয়ে এক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, “তারা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, এসব ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরাও স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারি।”
বাংলাদেশের ১৮ জন ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো তথ্য নাই। ওই মিডিয়াকে আপনি জিজ্ঞেস করেন আল্লাহর ওয়াস্তে। আর এগুলা নিয়ে আপনার ঘুম হারাম করার কোনো কারণ নাই।”