শনিবার দুপুর থেকে ফিলিং স্টেশনটি সেবা দিতে শুরু করেছে।
Published : 09 Mar 2024, 04:32 PM
জ্বালানি তেলের দাম কমার পর ঢাকার আসাদগেটের তালুকদার ফিলিং অ্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টারে শুক্রবার থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ ছিল।
প্রতিষ্ঠানটিরি ভাষ্য, ডিপো থেকে তেল না আসায় তেল সরবরাহ করতে পারেননি তারা। এর সঙ্গে দাম কমার কোনো সম্পর্ক নেই।
শনিবার ওই পাম্পে গেলে কর্মীরা জানান, শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে ওই পাম্পে তেল দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। ফলে অনেকেই যানবাহনে তেল ভরতে এসে ফিরে যান। শনিবার দুপুরে ফের শুরু হয় তেল সরবরাহ।
ফিলিং স্টেশনটির ব্যবস্থাপক তন্ময় কান্তি বাড়ই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ডিপো থেকে প্রতিদিন তিনটি ট্যাংকারে প্রায় ৪০ হাজার লিটার তেল আসে। শুক্রবার ডিপো বন্ধ থাকায় তেল আসেনি। আর দাম কমার পর ক্রেতারাদের অনেকে বেশি তেল নিয়েছেন।
“আসলে ডিমান্ড বেশি থাকায় তেলে শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে আমরা একটা নজল দিয়ে জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহনে তেল দিয়েছি। আজ তেল আসার পর দুপুর ২টা থেকে সব গাড়িতেই তেল সরবরাহ হচ্ছে। এর সঙ্গে দাম কমার কোনো সম্পর্ক নেই।”
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় শুরু হয়েছে চলতি মাসেই।
গত বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
ওই দিন মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন দর, যাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা। পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে ১২২ টাকা হয়েছে।
আর অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে ১২৬ টাকা করা হয়েছে। তার মানে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ পয়সা; পেট্রোলে ৩ টাকা এবং অকটেনে ৪ টাকা কমেছে।
ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের অগাস্টে জ্বালানি তেলের দাম গড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৩ দিনের মাথায় প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয় তেলের দাম।
সে অনুযায়ী, এতদিন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, ফর্মুলা বা গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।
এতোদিন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিয়মিত ওঠানামা করলেও বাংলাদেশে দামের পরিবর্তন হত সরকারের সিদ্ধান্তে দীর্ঘ সময় পর পর। তাতে কখনও ভোক্তা, আবার কখনও সরকারি সংস্থা বিপিসি লোকসানের মুখে পড়ত।
পুরনো খবর