Published : 03 Aug 2024, 09:23 PM
বনানীর সেতু ভবনে নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শান্ত ইসলাম মল্লিক তার রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলোনকারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে পলাতক আসামিদের সহযোগিতায় ডোনার সেতু ভবনের প্রধান গেটের ভেতরে প্রবেশ করে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
আইনজীবী মাহিদুল ইসলাম সজীব রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানিতে বলেন, ফরহাদ হালিম ডোনার জাতীয় ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রধান হিসাবে কর্মরত।
“৬২ বছর বয়সী এ চিকিৎসক মারাত্মক কিডনি রোগে আক্রান্ত। উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিক, হৃদরোগও আছে। এরকম অসুস্থতা নিয়ে সেতু ভবনে নাশকতায় থাকা সম্ভব নয়।”
বিচারকের কাছে ডোনারের অসুস্থতার কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পুলিশ কর্মকর্তা এস আই শাহ আলম।
‘হামলায় সম্পৃক্ততার বক্তব্য মনগড়া’
আদালতে শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্যকে ‘মনগড়া’ অ্যাখ্যা দেন ফরহাদ হালিম ডোনার।
তিনি বলেন, “আমাকে বলা হচ্ছে আমি নাশকতার ওই ঘটনার ইন্ধনদাতা। আমি কীভাবে ইন্ধনদাতা হলাম, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আবেদনে নেই।”
আদালতকে একটি মেডিকেল কার্ড দেখিয়ে বলেন, “আমার নিয়মিত স্টেরয়েড রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিতে হয় প্রত্যেকদিন। এ কার্ডটি আমাকে সবসময় সঙ্গে রাখতে হয়। এ ছাড়া আমি যেকোনো সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার ঝুঁকিতে থাকি।
“এই কার্ডের নির্দেশনা অনুসারে আমাকে ইনজেকশন নিতে হয়। কিন্তু আমি যখন অন্য মামলায় রিমান্ডে ছিলাম, এই ইনজেকশন সেখানে ছিল না। আমি বিকল্প হিসেবে কিছু ওষুধ খেয়েছিলাম।”
তিনি বলেন, “যদি এই মামলায় আমাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়, আমি কোনো চিকিৎসা পাব না। আমাকে জামিন দিলে আমাকে যখনই ডাকা হবে, আমি এসে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিব। অথবা জামিন না দিলে আমাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক। এইটুকু দয়া আমি চাই।”
উভয়পক্ষের কথা শুনে বিচারক ডোনারকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।