পৌষের মাঝামাঝিতে দেশের পাঁচ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ; তাপমাত্রাও কমতে কমতে নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
পৌষের মাঝামাঝিতে শীত পড়তে থাকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা।
বৃহস্পতিবার পৌষের ১৪ তারিখে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতও রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।
এদিন ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, দলগাছী, তাড়াশ, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট, যশোর, কুমারখালীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।
কিছু জেলায় মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাসও রয়েছে। সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
দু’দিন আগের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া কেটে যাওয়ার পর শীত ও কুয়াশার দাপট বাড়ছে। বছরের শুরুতেও কয়েকদিন শীতের তীব্রতা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ডিসেম্বরের শেষ দিকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা পর্যায়ক্রমে কমতে পারে। কোথাও কোথাও একটি থেকে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।