Published : 10 Feb 2025, 08:47 PM
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে দেওয়া হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের কাছে এ নিয়োগের নির্বাচিত প্রার্থীদের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান।
উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “হাই কোর্টে একটা রায় হয়েছে। এর এগেইনস্টে আমরা আপিল করেছি রায় পুনর্বিবেচনার জন্য।”
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে কোটায় নির্বাচিত হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফল বাতিল করে হাই কোর্ট। আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের আদেশও দেয়।
এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর হাই কোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। বৃহস্পতিবার সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হয়।
হাই কোর্টের রায়ের পর বৃহস্পতিবার রাতেই প্রার্থীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। তারা শুক্রবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার বাসভবন যমুনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে লাঠিপেটা করে।
সোমবারও তারা শাহাবাগ মোড় আটকে অবস্থান নিলে তাদেরকে সরাতে লাঠিপেটার পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ।
তবে বিকালের দিতে আন্দোলনকারীরা রাস্তার ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে তারা শাগবাগেই অবস্থান করছেন।
নির্বাচিত প্রার্থী তালুকদার পিয়াস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোটা পুনর্নির্ধারণ করার আগে আমাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার আইন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন। আমাদের বিষয়ে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা বৈষম্যমূলক।”
এদিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট৷