২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত হত্যা ও অস্ত্র মামলায় ৯৯৪ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Published : 12 Jun 2024, 07:19 PM
বাংলাদেশের কারাগারে ৩৬৩ জন বিদেশি নাগরিক আটক রয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১৬টি দেশের নাগরিক আটক রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ভারতের। দেশটির ২১২ জন নাগরিক বাংলাদেশের কারাগারে আটক আছে। ভারতীয়দের মধ্যে ১১ জন কয়েদি, ৫৩ জন হাজতি এবং মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪৮ জন।
এছাড়া মিয়নামারের ১১৪ জন আটক রয়েছে বাংলাদেশের কারাগারে। এর মধ্যে ৫৮ জন কয়েদি, ৫০ জন হজরি ও মুক্তিপ্রাপ্ত ৬ জন।
অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানের ৭ জন, নাইরেজিয়া ও মালয়েশিয়ার ৬ জন করে, চীন ও বেলারুশের ৪ জন করে, ক্যামেরুন ও পেরুর ২ জন করে এবং আমেরিকা, বতসোয়ানা, জর্জিয়া, তানজানিয়া, মালয় ও অ্যাংগোলার এক জন করে নাগরিক আটক রয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
চট্টগ্রাম-১ আসনের মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী সংগঠনগুলোকে চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত হত্যা ও অস্ত্র মামলায় ৯৯৪ জন বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে (রোহিঙ্গা) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসীদের দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
স্বতন্ত্র মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেট কারাগারসহ দেশের অন্যান্য কারাগারে বিচার বহির্ভূত কোনো বন্দি নেই। তবে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ৬২১ জন বন্দির মামলা চলমান রয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, ট্রাফিক পুলিশদের উচ্চ তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি দিতে বর্তমানে প্রচলিত পোশাকের গুণগত মান পরীক্ষা করার পাশাপাশি প্রয়োজনে আরো আরামদায়ক পোশাক সরবরাহ করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১১ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০টি মামলা দায়ের করে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৫২৪ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আইন-প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে এক লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় এনেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩৩৬টি মামলা করে ৩৬ হাজার ৫৯২ জন মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
রাজশাহী-৩ আসনের আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০০৬ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে দুই লাখ ১২ হাজার ৭৬২ জন এবং বেসরকারি পর্যায়ে ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখ ৫০ হাজার ৮৬৭ জন মাদকাসক্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।