আদিবাসী নারীদের ‘প্রতিনিধিত্ব’ বাড়ানোর মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে নারী প্রগতি সংঘ-বিএনপিএস।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন বাড়ানোসহ পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের মত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছরে নারীর উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ দাবি তুলে ধরা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ প্রগতি নারী সংঘের উদ্যোগে ‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পের আওতায় এ আলোচনার আয়োজন হয়।
বিএনপিএসের উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমী বলেন, সমতলের নারীদের অধিকারের পাশাপাশি পার্বত্যচুক্তির সময় থেকে পাহাড়ের আদিবাসী নারীদের উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন তারা।
আলোচনা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় যুব নারী অধিকারকর্মী চন্দ্রা ত্রিপুরা বলেন, “পার্বত্য চুক্তি বা পূর্ববর্তী সশস্ত্র সংগ্রামের নানা পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ ছিলো উল্লেখযোগ্য। তবে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নারীদের প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
নারী ক্ষমতায়নে ব্যাঘাত ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার অর্থবহভাবে নিশ্চিত হচ্ছে না।”
‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিশোরী ও যুব-নারীরা তাদের অধিকারগুলো সম্পর্কে বুঝতে পারছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক সঞ্জয় মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু নেলী, হিল ফ্লাওয়ারের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিলো কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা, উইভের নির্বাহী পরিচালক নাই ইউ প্রু মেরী, জাবারাং এর নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা ও আদিবাসী ফোরামের নেতা দীপায়ন খীসা।