মাসদার ২৫০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্রকল্প স্থাপনের জন্য উপকূলীয় পুনরুদ্ধারকৃত জমিতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে।
Published : 28 Jan 2025, 09:22 PM
বাংলাদেশের বন্দর উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও লজিস্টিকস এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ এবং মাসদার।
মঙ্গলবার আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের সিইও আহমদ ইব্রাহিম আল মুতাওয়া এবং মাসদারের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ প্রধান ফাতিমা আলমাদলুম আলসুওয়াইদি রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই পরিকল্পনার কথা জানান
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আপনারা আপনাদের লোকজন নিয়ে আসুন এবং যত প্রয়োজন তত প্ল্যান্ট স্থাপন করুন।”
আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ সংযুক্ত আরব আমিরাতের চতুর্থ লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান, যারা বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর আগে ডিপি ওয়ার্ল্ড, ডেনমার্কের এপি মোলার মেয়ারস্ক এবং সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালও একই রকম আগ্রহ প্রকাশ করে।
তারা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রস্তাবিত তিনটি বে টার্মিনালের মধ্যে একটি উন্নয়ন, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গ্রুপ সিইও আল মুতাওয়া বাংলাদেশি কৃর্তপক্ষের মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দরগুলোর জাহাজ চলাচল বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।
এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রতিষ্ঠান মাসদার ২৫০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্রকল্প স্থাপনের জন্য উপকূলীয় পুনরুদ্ধারকৃত জমিতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে।
মাসদারের বিনিয়োগ প্রধান ফাতিমা আলমাদলুম আলসুওয়াইদি বলেন, “বাংলাদেশে নতুন ধারণা বাস্তবায়নে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামৌদি, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।
দুবাইয়ের শাসকের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন আব্দুল্লাহ আলি আলহামৌদি।