খালেদা একরাম, হালিদা হানুমসহ ৫ জন পাচ্ছেন রোকেয়া পদক

আগামী শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে এ পদক বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিতে চলতি বছরের বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন পাঁচজন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপচার্য খালেদা একরামকে নারী শিক্ষায় ভূমিকার জন্য এবং নেত্রকোণা জেলার কামরুন্নেছা আশরাফ দিনাকে নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য রংপুর জেলার ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে লক্ষ্মীপুর জেলার নিশাত মজুমদার এবং পল্লী উন্নয়নে ঠাকুরগাঁও জেলার রনিতা বালা এবারের রোকেয়া পদক পাচ্ছেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, আগামী শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে এ পদক বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আঠারো ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম সোনার একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা এবং চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র পাবেন পদকজয়ীরা।

বাঙালী নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতিতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সাল থেকে এই পদক প্রবর্তন করে। প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে এই পদক বিতরণ করা হয়।

প্রথম বছর বেগম শামসুন্নাহার মাহমুদ এই পদক পান। পরের বছর দেওয়া হয় কবি সুফিয়া কামাল ও নীলিমা ইব্রাহিমকে।

সংবাদ সম্মেলনে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, “২০৩০ সালে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ৫০:৫০ উন্নীত করার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, সে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩৫টি বিভিন্ন ট্রেডে ৭ লাখ নারীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

“শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে নারীর আজ সফল অগ্রযাত্রা। নারীরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ আজ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃথক পৃথক বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।

বেগম রোকেয়া দিবস ও পদক প্রদান উদযাপন অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। টেলিভিশন ও রেডিওতে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বিতরণ ও স্থাপন করা হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।