২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুক।
Published : 28 Nov 2023, 04:47 PM
ভুটানের থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার ভুটানের একটি ঠিকাদার কোম্পনির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এ কাজের সূচনা হয়।
থিম্পুর নতুন কূটনৈতিক এলাকা হেজো-সামতেলিংয়ে ভুটান সরকারের দেওয়া জমিতে নির্মাণ হচ্ছে এই ভবন।
আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভুটানের ‘বজ্র বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ এ কাজ পেয়েছে।
বুধবার ভুটান ও বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বজ্র বিল্ডার্সের সঙ্গে চু্ক্তি সই করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূতাবাস নির্মাণের জন্য কূটনৈতিক এলাকায় পরস্পরকে জায়গা দিয়েছে দুদেশের সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ভুটান সরকার থিম্পুর সুপ্রিম কোর্টের পাশে নির্ধারিত কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশের জন্য দেড় একর জমি দেয়।
ওই জমিতে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুক।
বুধবার নির্মাণ শুরুর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায় এবং বজ্র বিল্ডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামৎশো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা ও মোনাজাতের পর চুক্তি স্বাক্ষর এবং দুদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
ভুটানের পঞ্চম রাজার রয়্যাল চেম্বারলিন এবং চতুর্থ রাজার রয়্যাল চেম্বারলিন, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র সচিব, ভুটানে নিযুক্ত ভারতের শার্জ দা অ্যাফেয়ার্সসহ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায় বলেন, থিম্পুতে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ভবন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের রাজার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং দু’ দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার কূটনৈতিক সুসম্পর্কের পরিচয় বহন করে।
“এ ভবনের মাধ্যমে দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বহুমুখী সম্পর্ক আরোও সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
থিম্পুতে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের সময় ধরা হয়েছে ১৮ মাস। দেড় একর জমিতে মোট চারটি ভবন নির্মাণ করা হবে। যাতে রয়েছে দূতাবাস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, স্টাফ কোয়ার্টার্স এবং মাল্টিপারপাস হল।