এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ২৭ অগাস্ট হাই কোর্টকে জানাতে হবে।
Published : 27 Apr 2025, 04:26 PM
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র সংগ্রহের পরও ১৭ হাজার ৭৭৭ জন মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে রিক্রুটিং এজেন্সিরই ‘সব দায়’ দেখছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি।
ওই কমিটির প্রতিবেদন রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে রিট মামলাকারী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ জানান, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা পরিশোধ করা হয়েছে কি না এবং তাদেরকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে আগামী ২৭ অগাস্ট জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০২৪ সালে নতুন-পুরাতন বিদেশি কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিমানের টিকেট স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে ওই সময়ের মধ্যে যেতে পারেননি ১৭ হাজার ৭৭৭ জন বাংলাদেশি।
এ নিয়ে সৃষ্ট সংকটের কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে এয়ার টিকেট না পাওয়ার কথা বলেছে রিক্রুটিং এজেন্সিরা। কিন্তু তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এজেন্সিরা যথাসময়ে কর্মী না পাঠানোয় এয়ার টিকেটের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তাতে টিকেট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় এবং বেড়ে যায় টিকেটের দাম।
কর্মী পাঠানোর ব্যর্থতা ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে কিছু পদক্ষেপও নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রশ্নে সব এজেন্সির সুযোগ নিশ্চিত করা এবং বিএমইটি’র ক্লিয়ারেন্স কার্ড গ্রহণ এবং কর্মী প্রেরণের সময়সীমা ঠিক করা।