“যারা দোষী আছে, তাদের কী ধরনের সাজা দেওয়া যায়, সেই সুপারিশ থাকবে,” বলেন প্রতিমন্ত্রী
Published : 09 Jun 2024, 11:38 PM
শেষ সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে। মালয়েশিয়ায় যেতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে রোববার জাপানের বিভিন্ন কোম্পানির ১১ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের আশ্বাস দেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “যারা দোষী আছে, তাদের কী ধরনের সাজা দেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে সুপারিশ থাকবে।”
মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সে দেশে যাওয়ার অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবেশের শেষ দিন ছিল ৩১ মে। কর্মী ভিসায় আর কেউ সেখানে ঢুকতে পারবেন না।
এই সুযোগে কিছু এজেন্সির যোগসাজশে এই রুটে ভাড়া ৩০ হাজার টাকা থেকে কয়েক গুণ বেড়ে লাখ টাকার বেশি হয়ে যায়।
এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেকে ৩১মে সকাল থেকে বিমানবন্দরে আসতে থাকেন। যেসব এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি, তারাই ডেকে আন তাদের। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিমানবন্দরে উৎকণ্ঠিত মানুষের ভিড় দেখা যায়। সংকট লাঘবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরে একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করে। কিন্তু তাতে সর্বোচ্চ ২৭১ জন যাত্রীর মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ মেলে। দিনভর অবস্থান করে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে রাতে কয়েকশ মানুষ বিমানবন্দর থেকে ফিরে যান।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। ২১ মের পর অনুমোদন দেওয়ার কথা না থাকলেও মন্ত্রণালয় এর পরেও আরও ১ হাজার ১১২ জনকে অনুমোদন দেয়।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, অনুমোদন পেয়েও ৩১ হাজার ৭০১ জন মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এ সংকটের কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
‘দক্ষ কর্মী নেবে জাপান’
জাপানের কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, “জাপানের প্রতিনিধি দলকে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য টিটিসির (কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে তারা আগ্রহী কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং যোগ্যদের বাছাই করবে।”
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাপানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির ‘ইউরিগুমি মেরিটাইম কোম্পানি লিমিটেডের’ মাসাফুমি ইউরিগুমি। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।