নতুন রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনার মধ্যে যাতায়াতের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা; বেনাপোলের ক্ষেত্রে কমবে চার ঘণ্টার মত।
Published : 23 Dec 2024, 10:35 PM
পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণে ট্রেন চলাচলে নির্মিত নতুন রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনা ও বেনাপোল রুটে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী জংশন হয়ে খুলনা যাবে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। আর বেনাপোল যাবে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’। এই দুই পথে যেতে চার ঘণ্টার কম সময় লাগবে।
সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এই দুটি ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শনিবার। টিকেট কেনা যাচ্ছে অনলাইন এবং নির্ধারিত স্টেশনের কাউন্টার থেকে। দুটি ট্রেনেরই সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে সোমবার।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ট্রেন দুটি উদ্বোধন করবেন।
বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনার পথে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ চলাচল করে।
এর মধ্যে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ পদ্মা সেতু হয়ে এবং ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চলাচল করছে। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-খুলনা রুটে নকশীকাঁথা নামে একটি কমিউটার ট্রেন চলছে।
এর আগে ঢাকা থেকে বেনাপোল রুটে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ চলাচল করত বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে। এটি এখন পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, দর্শনা ও যশোর হয়ে বেনাপোলে যায়।
নতুন ট্রেন ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ সকাল ৬টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল পৌনে ১০টায়। আবার ঢাকা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে রাত ৮টায়, খুলনায় পৌঁছাবে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে।
ট্রেনটি আসা-যাওয়ার পথে নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন, ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে থামবে।
অপরদিকে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ ঢাকার কমলাপুর থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রওনা হবে। বেনাপোল পৌঁছাবে দুপুর আড়াইটায়।
আবার বেনাপোল থেকে বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে। এটি যশোর, নড়াইল, কাশিয়ানী ও ভাঙ্গা স্টেশনে থামবে।
রেলওয়ে বলেছে, শুরুর দিকে দুটি ট্রেনেই ১১টি করে কোচ থাকবে। একেক ট্রেনে আসন সংখ্যা ৭৬৮টি।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি নতুন স্টেশন ভবন ও ছয়টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেলপথে ৬৬টি বড় ও ২৪৪টি ছোট সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
নতুন এ রেলপথের ফলে ঢাকা ও খুলনার মধ্যে যাতায়াতের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা; যশোর ও বেনাপোলের মধ্যে কমবে চার ঘণ্টার মত।