দেশ-বিদেশের ভাষা গবেষণা ও শিক্ষার বিস্তারে বৃত্তি বা ফেলোশিপ অনুদান এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
Published : 13 Mar 2024, 06:59 PM
দেশ ও বিদেশের প্রায় বিপন্ন ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণায় একটি ট্রাস্ট গঠন করবে সরকার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন ২০১০ এর আওতায় এ ট্রাস্ট গঠন হবে। এজন্য আইনটি সংশোধন করতে খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ট্রাস্ট গঠন ও এর কাজের বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দেশ ও বিদেশের বিপন্ন হতে যাওয়া লিখনীবিহীন ভাষাগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, গবেষণা এবং বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করবে ট্রাস্ট।
এ ট্রাস্টের মাধ্যমে বাংলাসহ বিশ্বের অন্যান্য ভাষা আন্দোলন বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমও পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পাশাপাশি অন্যান্য এলাকার ভাষা গবেষণা ও ভাষা শিক্ষার বিস্তারে বৃত্তি বা ফেলোশিপ অনুদান, প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সচিব বলেন, "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনটি ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভাষা শিক্ষা এবং যে ভাষাগুলো বিলীন হয়ে হয়ে যাচ্ছে সেগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গবেষণাধর্মী কাজকর্ম করার জন্য বলেছিলেন। সেজন্য একটি ট্রাস্ট করতে বলেছিলেন। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে এই কাজগুলো পরিচালিত হবে। সেজন্য ওই বিষয়টি আইনে সন্নিবেশিত করার জন্য এটা আনা হয়েছে।
"এখানে মূল কাজ হবে-বর্তমানে যে জিনিসটা আছে, সেখানে কাজের যে তালিকা আছে, সেই তালিকা তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রাস্ট সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত কাজ এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।"
এছাড়া এদিনের বৈঠকে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন ২০২৪, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন ২০২৪ এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন ২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই তিন ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী যিনি হবেন তার পদের নামটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে সচিব লেখা ছিল, এখন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে লেখা থাকবে।