কোরবানির ঈদ ঘিরে মোট ৭দিন ফেরিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পচনশীল পণ্য ও পশুর ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তবে এই সময় ফেরিতে যাত্রী পারাপার চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে বুধবার সচিবালয়ে ‘সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা’ সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "ঈদের আগের তিন দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের তিন দিন ফেরিতে পচনশীল পণ্য এবং কোরবানির পশু পারাপার, যাত্রী পরিবহন ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে।"
এ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ, বিডব্লিউটিসির সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে থাকবে বলেও তিনি জানান।
কী ধরনের নজরদারি থাকবে প্রশ্ন করলে খালিদ বলেন, “নৌপথ দিয়ে যেসব কোরবানির পশু আসে, অনেক সময় দেখা যায়, সেগুলো যে হাটে ওঠানোর কথা ছিল, সেখানে না তুলে আরেক হাটে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার টাকা-পয়সার বিষয়ও থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে যেন টাকা লেনদেন করা হয়। জাল টাকার ক্ষেত্রেও তারা মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করবেন।“
কোরবানি ঈদে নৌপথে কী পরিমাণ যাত্রী হতে পারে জানতে চাইলে খালিদ জানিয়েছেন এই সংখ্যা এখন নিরূপণ করা ‘কঠিন’।
"গতবছর আমরা মনে করেছিলাম সদরঘাট খুব স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু ঈদের তিন-চারদিন বাকি থাকতেই আগের মত যাত্রী হয়েছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পরও বরিশালে ৪০টি লঞ্চঘাট আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ডিসি। তারা নৌ-পথে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এখানে লাখ লাখ মানুষ, এটি সংখ্যায় নিরূপণ করা কঠিন।“
যানজট নিরসনে ঈদের আগে তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীদের একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে যেন ধাপে ধাপে দেওয়া হয়, সেজন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এর কাছে মন্ত্রণালয় প্রস্তাব রেখেছে বলেও জানান খালিদ।
তিনি বলেন, “একসঙ্গে ছুটি দিলে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত। তারা বলেছে, ধারাবাহিকভাবে ছুটির ব্যবস্থা করবে।"