নরওয়েকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কাজে সহায়তা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
Published : 03 Oct 2024, 11:25 PM
বাংলাদেশে নরওয়ের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্ড গুলব্র্যান্ডসেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরল্ড গুলব্র্যান্ডসেন ও মাইকেল মিলার বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার আনুষ্ঠানিকতা সারেন।
এ সময় নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “গত পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সুশাসনসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে আসছে নরওয়ে।”
নরওয়েকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কাজে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণ, সি-ফুড প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি ও তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে নরওয়ের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরল্ড বলেন, “নরওয়ে বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশে সহায়তা করতে আগ্রহী।”
পরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারকে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের বাংলাদেশের রপ্তানির বড় গন্তব্যস্থল। গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপকভিত্তিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।”
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় ২০২৯ সালের পরও রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা অব্যাহত রাখার পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করতে পারে।”
এসময় তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনসম্পদ পাঠাতে রাষ্ট্রদূতের সহায়তা চান।
রোহিঙ্গা সঙ্কটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, জাতিসংঘ; ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদাররা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, “ইইউ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শুরু থেকেই সহায়তা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।”