বুধবার গভীররাতে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭ নম্বর ভবন।
Published : 29 Dec 2024, 04:13 PM
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দাপ্তরিক কাজ সারতে বেছে নেওয়া হয়েছে বাইরের বিভিন্ন সরকারি ভবন।
এসব ভবনের কোথাও কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কোথাও শুরুর অপেক্ষায় রয়েছেন কর্মকর্তারা।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বেছে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৪ ও ১৫ তলার তিনটি ফাঁকা তলাকে।
রোববার সকাল থেকে সেখানে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ধোয়া-মোছা, রং করা, চেয়ারটেবিল বসানোর কাজে দুপুর গড়িয়ে যায়। তবে ভবনের কিছু কক্ষ ব্যবহার করে কয়েকটি বৈঠক সেরেছেন কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সকাল থেকে ইতোমধ্যে দুইটা মিটিং করেছি।
“উপদেষ্টা মহোদয় যেকোনো সময় এসে অফিস শুরু করবেন। হয়তো আজকেই আসবেন। আর উপদেষ্টা মহোদয় এবং সচিব স্যারসহ যে রুমগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে, এগুলোর কাজও প্রায় শেষ।”
রেল ভবনের দশম তলায় বসেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এহছানুল হকসহ আরও কয়েকজন।
সেখানেই অফিস করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রেল ভবনের দশম তলায় কিছু কক্ষ খালি করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর চলবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার জনসংযোগ কর্মকর্তা নোবেল দে বলেন, “রেল ভবনে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ সকাল থেকেই চলছে।”
বুধবার রাত ২টার দিকে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট সেখানে যায়। প্রায় দশ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়।
আগুনে সাত নম্বর ভবনের ৬, ৭, ৮, ৯ এই চারটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে অষ্টম ও নবম তলায় ক্ষতি হয়েছে বেশি, সেখানকার অধিকাংশ নথি পুড়ে গেছে।
এসব তলায় ছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি দপ্তর।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় পুড়ে গেলেও সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনে তথ্য মন্ত্রণালয় থাকায় সেখানে অফিস সারছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “আমার আরেকটি মন্ত্রণালয় আছে। আমি সেখানে বসছি।”
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দাপ্তরিক কাজ করছেন ক্রীড়া ভবনে।
আর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে শ্রম ভবনে।
শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, “আপাতত পল্টনের শ্রম ভবনে অফিস করছি।”
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন ছাড়া বাকি ভবনগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় সেগুলোতে থাকা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে কোনো সমস্যা নেই।
অগ্নিকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবারই সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করা হয় বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়াজ।
তিনি শনিবার বলেন, “৭ নম্বর ভবন ছাড়া বাকিগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক হয়েছে গেছে। পরশুদিন আগুন লেগেছিল, তার পরের দিনই সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। ৭ নম্বর ভবন ছাড়া বাকি ভবনগুলো ব্যবহারের উপযোগী।”