Published : 20 Mar 2024, 11:22 AM
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে আরো এক নারী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এক সপ্তাহ আগের ওই অগ্নি দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে এ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হল। দগ্ধ আরো ১৩ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন; তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কমলা খাতুন নামের ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়।
“তার শরীরে পোড়ার মাত্রা ছিল ৮০ শতাংশ। পাশাপাশি শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল। আজ ভোরে আইসিইউতে তিনি মারা যান।"
গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ইফতারের আগে আগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যে বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে গ্যাস বের হতে থাকা গরম সিলিন্ডার ভেজা চট দিয়ে মুড়িয়ে বাইরে রেখে যান পরিবারের কেউ একজন। স্থানীয়দের অনেকে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কী হচ্ছে সেটা দেখতে। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ।
সে সময় পাশের আরেকটি বাসায় চুলা ধরাতে গেলে পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই দগ্ধ হয় সবাই।
ওই ঘটনার পর মারাত্মকভাবে দগ্ধ ৩২ জনকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
তাদের মধ্যে সোলেমান মোল্লা নামে ৪৫ বছর বয়সী একজন শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শনিবার মৃত্যু হয় তৈয়বা নামে ৪ বছরের এক শিশু এবং মুনসুর আলী আকন্দ নামের ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির।
এরপর রোববার ভোরে আরিফুল ইসলাম নামের ৩৮ বছর বয়সী একজন এবং সকাল পৌনে ৭টায় ২৫ বছর বয়সী মহিদুল খানের মৃত্যু হয়। রোববার সন্ধ্যায় মারা যান মাহিদুলের স্ত্রী নার্গিস আক্তার (২২)।
রোববার রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে গোলাম রাব্বী (১১), সোলায়মান (৯), জহিরুল ইসলাম (৪০) ও মোতালেব (৪৮) মারা যান। সোমবার সন্ধ্যায় মারা যায় ৭ বছর বয়সী তাওহীদ।
এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২১ বছরের ইয়াসিন আরাফাত এবং তার কিছুক্ষণ পর ২২ বছরের মশিউর আলী মারা যান।